১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

রাবির অগ্রণী ব্যাংকে সেবার মান ভালো না : নতুন ব্যাংক খোলার দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী

ফারুক হাসান, রাবি প্রতিনিধি: জায়গা সংকট, কাউন্টার কম, কখনও সার্ভার সমস্যা, বুথ থেকে টাকা উত্তোলনে ভোগান্তি- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একমাত্র ব্যাংকে প্রতিদিনই এসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের অভিযোগ অগ্রণী ব্যাংকের এই শাখায় গ্রাহক অনুপাতে অনেক জায়গা অনেক কম হওয়ায় তারা সঠিক সার্ভিস দিতে পারছে না। এ কারণে ক্যাম্পাসে আরেকটি ব্যাংকের শাখা খোলার দাবি তুলেছেন রাবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তারা বলছেন, রাবিতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজারেরও বেশি। রয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৩ শত শিক্ষক, ৪ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী। অগ্রণী ব্যাংকের এই শাখাটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনেই স্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু এখন পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনও সেখানে লেনদেনের সুযোগ পাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি কার্যদিবসে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত লেনদেনের সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। যদিও ব্যাংক খোলা থাকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই সময়ে ভর্তি বা পরীক্ষা সংক্রান্ত লেনদেনের সুযোগ নেই শিক্ষার্থীদের।
শুধু সময় কম নয়, উল্লেখ করে রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘ব্যাংকটির ভেতরে জায়গা খুবই কম। মাত্র ১৪টি কাউন্টার। যার মধ্যে ১টিতে ভর্তি, আরেকটিতে পরীক্ষা সংক্রান্ত ফরম ফিলাপের টাকা জমা নেয়া হয়। মাঝে মাঝে একটি লাইন আরেকটির মধ্যে ঢুকে যায়।’
এদিকে ছাত্রীদের জন্য আলাদা কাউন্টার নেই অভিযোগ করে শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শিল্পি আক্তার বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একই লাইনে দাঁড়াতে হয় তাদের। ভিড়ের মধ্যে খুব বাজেভাবে দাঁড়াতে হয়, না হলে সরে আসতে হয়।
ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ক্যাম্পাসের ব্যাংকটি পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছে না। পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনকেও লেনদেনের সুযোগ দেয়ায় দিন দিন ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্যাংক সার্ভিসের মানও নিম্নমুখী।
এক ব্যাংকের মাধ্যমে এত বিপুল সংখ্যক স্টেক হোল্ডারের লেনদেন সম্ভব না দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নতুন ব্যাংককে সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি এরই মধ্যে প্রশাসনের নজরে এসেছে। যতদূর জানি আরেকটি ব্যাংকের শাখা খোলার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ